Outsourcing
Outsourcing and Online Earning:
একটা
সময় ছিল যখন পড়ালেখা শেষ করে একজন তরুনকে একটি চাকুরীর জন্য বিভিন্ন
কোম্পানীর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হত। কিন্তু চাকুরী যেন সোনার হরিণ এর মত
অধরা থেকে যেত। যদিওবা চাকুরী পাওয়া গেল কিন্তু থাকত না অর্জিত শিক্ষার
সাথে কোন সম্পর্ক। পাওয়া যেত না যোগ্যতার উপযুক্ত সম্মান। আর এখন তরুনরা
একটা চাকুরীর জন্য বসে নেই, নিজেরাই খোঁজে নিয়েছে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের
চাকা। ...ভাবছেন স্বপ্ন দেখাচ্ছি, সত্যি করে বলতে কি ইন্টারনেটে
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর বদৌলতে ঠিক এরকম একটা ব্যাপার আমাদের দেশে ঘটতে
যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশে এরকম কয়েকশত অনলাইন
ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা নিয়মিতভাবে আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করে থাকেন।
এদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা পড়ালেখা শেষ করে কোন চাকুরীতে যোগ না দিয়ে
সরাসরি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। অনেকে আবার অন্যদের জন্য কর্মক্ষেত্র
সৃষ্টি করছেন। কিন্তু ব্যাপারটা বেশিরভাগের কাছে পরিষ্কার না হওয়ায়
আউটসোর্সিং এর বিশাল বাজারে ভারত বা পাকিস্তানের মত আমরা সেইভাবে প্রবেশ
করতে পারিনি।
আউটসোর্সিং:
প্রথমেই
দেখে নেয়া যাক আউটসোর্সিং এবং অফশোর আউটসোর্সিং (Offshore Outsourcing) কি
এবং কেন করা হয়। আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে
তৃতীয় কোন প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেয়া। এই কাজ হতে পারে পণ্যের শুধু
ডিজাইন করা অথবা সম্পূর্ণ উrপাদন অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে কwরয়ে নেয়া।
আউটসোর্সিং এর সিদ্ধান্ত সাধারণত নেয়া হয় উrপাদন খরচ কমানোর জন্য। অনেক সময়
পh©vপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও আউটসোর্সিং করা হয়। অন্যদিকে
অফশোর আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজ দেশে সম্পন্ন না করে
ভিন্ন দেশ থেকে করিয়ে আনা। প্রধানত ইউরোপ এবং আমেরিকার ধনী দেশগুলো অফশোর
আউটসোর্সিং করে থাকে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কম
পারিশ্রমিকের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর
কাজগুলো (যেমন - ডাটা প্রসেসিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া,
টেকনিকাল সাপোর্ট ইত্যাদি) অফশোর আউটসোর্সিং করা হয়। যেসকল দেশ এই ধরনের
সার্ভিস প্রদান করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারত, ইউক্রেইন,
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপিনস, রাশিয়া, পাকিস্থান,
পানামা, নেপাল, বাংলাদেশ, রোমানিয়া, মালয়শিয়া, মিশর এবং আরো অনেক দেশ।
ফ্রিল্যান্সিং:
এবার
দেখে নেয়া যাক, ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কি এবং কিভাবে একজন
ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) হওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন এমন একজন
ব্যক্তি যিনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন।
একজন ফ্রিল্যান্সারের যেরকম রয়েছে কাজের ধরণ নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি
রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা। গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের
মধ্যে ফ্রিল্যান্সার স্বীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং এখন
একটি নির্দিষ্ট স্থানের সাথেও সম্পর্কযুক্ত নয়। আপনার সাথে যদি থাকে একটি
কw¤úউটার আর একটি ইন্টারনেট সংযোগ তাহলে যেকোন জায়গাতে বসেই আপনি
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করতে পারেন। হতে পারে তা ওয়েবসাইট তৈরি,
থ্রিডি এনিমেশন, ছবি সম্পাদনা, ডাটা এন্ট্রি বা কেমবলমাত্র লেখালেখি করা।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস:
ইন্টারনেটে
অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আউটসোর্সিং এর সুযোগ সৃষ্টি করে
দেয়। এই সকল সাইটকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্স
মার্কেটপ্লেস সাইটে দুই ধরনের ব্যবহারকারী থাকে। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ
জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে
তাদেরকে বলা হয় Freelancer, Provider, Seller অথবা কোন কোন ক্ষে‡ত্র Coder.
একটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য একাধিক ফ্রিল্যান্সাররা আবেদন করে, যাকে বলা
হয় বিড (Bid) করা। বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সাররা কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন
করতে পারবে তা নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে
ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের
অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সার মন্তব্যের উপর
ভিত্তি করে ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে নির্বাচন করে থাকে।
ফ্রিল্যান্সার নিe©চন করার পর K¬vয়েন্ট প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা ওই
সাইটগুলোতে এস্ক্রো (Escrow) নামক একটি একাউন্টে জমা করে দেয়, যা কাজ শেষ
হবার পর সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সারের পাওনা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে।
কাজ শেষ হবার পর ফ্রিল্যান্সারকে সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি ওই সাইটে জমা দিতে
হয়। এরপর ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারের কাজটি যাচাই করে দেখে। সবকিছু ঠিকঠাক
থাকলে ক্লায়েন্ট তখন সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করে কাজটি গ্রহণ করে। সাথে
সাথে এস্ক্রো থেকে অর্থ ওই সাইটে ফ্রিল্যান্সারের একাউন্টে এসে জমা হয়।
সম্পূর্ণ সার্ভিসের জন্য এসময় ফ্রিল্যান্সারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ
(১০% বা ১৫%) ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়| এরপর মাস শেষে সাইটটি
ফ্রিল্যান্সারের আয়কৃত অর্থ বিভিন্ন পদ্ধতিতে তার কাছে প্রেরণ করে|
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
ইন্টারনেটে
অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়। এগুলো
থেকে যেকোন একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব
ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এক
কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Provider বা Coder. একটি কাজের জন্য
অসংখ্য কোডাররা Bid বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে
তাও উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নিe©vচন করতে
পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময়
কোডারের মন্তব্য কোডার নিব©vচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
থাকে। কোডার নিe©vচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে
জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হevর পর সাথে সাথে টাকা পাবার নিশ্চয়তা
থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য কোডারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি
হিসেবে দিতে হয়। এই পরিমাণ ওয়েবসাইট এবং কাজের ধরনভেদে ভিন্ন ভিন্ন (১০%
থেকে ১৫%)। এই সাইটগুলোকে কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে:
www.RentACoder.com, www.GetAFreelancer.com, www.GetACoder.com, www.Scriptlance .com, www.Joomlancers .com , www.oDesk.com ইত্যাদি।
www.RentACoder.com, www.GetAFreelancer.com, www.GetACoder.com, www.Scriptlance .com, www.Joomlancers .com , www.oDesk.com ইত্যাদি।
অনলাইনে কাজের প্রকারভেদ
অনলাইনে
প্রায় সকল ধরনের কাজ করা যায়। আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয়
করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারী হতে হবে তা
কিন্তু নয়। আর আপনি যদি মনে করেন কোন একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ
পারদর্শী নন তাহলে ডাটা এন্ট্রির মত কাজগুলো সহজেই করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স
মার্কেটপ্লেস সাইটগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রায় সকল ধরনের কাজ পাওয়া
যায়। প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া থেকে
শুরু করে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অথবা কোন
ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা - কি নেই সাইটগুলোতে। অনলাইনে কি কি ধরনের
কাজ পাওয়া যায় তা জানতে নিচের তথ্যগুলো লক্ষ করুন।
Without Skill
1) PTC 2) Advertising 3) Picture Marketing 4) Data Entry 5) AW Survey 6) Video Marketing 7) Sign up/Comments
8)Twitter Marketing 9) Facebook Marketing etc.
Skill and Professional
1)
Web Design 2) PHP 3) Java Script 4) Java 5) XHTML 6) XML 7) C
Programming 8) ASP.Net 9) Perl 10) CMS 11)Graphics Design 12) Multimedia
13) Flash 14) SEO 15) Marketing 16) Writing 17) CGI 18) Theme Markin